,

দেশে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন

সময় ডেস্ক :: বর্তমানে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, কয়েক বছরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পরিমাণ অনেক বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একথা জানান। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক বছরে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মাসিক ভাতার পরিমাণ ১২ হাজার টাকাসহ দুটি উৎসব ভাতা ১০০০০ টাকা হারে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ২০০০ টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫০০০ টাকা টাকা দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ‘৯৬ থেকে শতভাগ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাকে ৪৫ হাজার টাকা, ৬১ থেকে ৯৫ শতাংশ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ৩৫ হাজার টাকা, ২০ থেকে ৬০শতাংশ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ হাজার টাকা, ১ থেকে ১৯ শতাংশ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ২৫ হাজার টাকা ভাতা দিচ্ছে সরকার।’ এছাড়া শহীদ পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা, মৃত যুদ্ধাহত পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা ও বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সব শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫শতাংশ কোটা সংরক্ষণ; যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ‘ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদান সংক্রান্ত সুবিধাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোনো উদ্যোগ প্রয়োজনবোধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সাবির্ক সহায়তা করবে,’ যোগ করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর